, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ , ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


পদ্মায় ফেরিডুবি: এখনো খোঁজ মেলেনি ইঞ্জিন মাস্টার হুমায়ুনের

  • আপলোড সময় : ১৯-০১-২০২৪ ১২:০১:২৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৯-০১-২০২৪ ১২:০১:২৪ অপরাহ্ন
পদ্মায় ফেরিডুবি: এখনো খোঁজ মেলেনি ইঞ্জিন মাস্টার হুমায়ুনের
এবার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের পাটুরিয়া ৫নং ফেরিঘাটের কাছে ৯টি ট্রাক নিয়ে ফেরি রজনীগন্ধার ডুবির ৪৮ ঘণ্টা পার হলেও এখনো খোঁজ মেলেনি ফেরিটির দ্বিতীয় মাস্টার (যন্ত্রচালক) হুমায়ুন কবিরের (৩৯)। ফেরি ডুবির সময় অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পাড়ে ফিরলেও নিখোঁজ আছেন হুমায়ুন। তবে ফেরিতে থাকা ২০ জন ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অধিকাংশই ট্রাকের চালক ও হেলপার।
 
এদিকে নিখোঁজ হুমায়ুনের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরে। তার পরিবারে স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। তিনি ২০১১ সালে বিআইডব্লিউটিসিতে চাকরি শুরু করেন। সাত মাস আগে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরিতে যোগ দেন। হুমায়ুন কবীর বিআইডব্লিউটিসি ওয়াকার্স ইউনিয়নের আরিচা আঞ্চলিক কমিটির দক্ষিণ (পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া) শাখার সভাপতি ছিলেন।

এদিকে বিআইডব্লিউটিসি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মহসিন ভূঁইয়া ৩৬ ঘণ্টায়ও তার কোনো খোঁজ না মেলায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে ফেরি ডুবি নিয়ে একাধিক উদ্ধারকারী দল ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন। সন্দেহ আরও বেড়েছে। বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. সালালউদ্দিন বলেন, দুঃখজনক হলো ফেরি সেকেন্ড মাস্টার হুমায়ুনকে জীবিত বা মৃত্যু উদ্ধার করা যায়নি।

তিনি বলেন, ফেরি ডুবির অল্প কিছু সময় আগে দুর্ঘটনাকবলিত ফেরিতে থাকা সবাইকে আত্মরক্ষার জন্য হুমায়ুন সজাগ করলেও তিনি নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি। ফেরিটি যখন ডুবছিল হয়তো কোনো কিছুর চাপায় নিচে ফেরির মধ্যে আটকে গেছেন। এদিকে, তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধা উদ্ধারের কাজ বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে স্থগিত করা হয়।

গত বুধবার দুটি ও বৃহস্পতিবার একটি ট্রাক উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও রুস্তম। বুধবার সকাল ৮টার দিকে রজনীগন্ধা নামের ফেরিটি ডুবে যাওয়ার ৩১ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম মালবোঝাই একটি ট্রাকটিকে উপরে তুলে নিয়ে আসে বলে জানান বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) খালেদ নেওয়াজ।

এ দুর্ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ পক্ষ থেকে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক রেহেনা আক্তার বলেন, এই ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা জেসমিনকে প্রধান করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মতিউর রহমান বলেন, এই দুর্ঘটনার অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। এর আগে গত বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ৮টার দিকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথের পাটুরিয়া প্রান্তে পদ্মা নদীতে ৯টি যানবাহন নিয়ে ডুবে যায় নোঙর করে রাখা ফেরি রজনীগন্ধা। এ ঘটনায় ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।